জাতীয় রাজনীতির বিশিষ্ট নেতা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এনসিপি। ৪ মে মধ্যরাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দলটির শীর্ষ নেতাসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ হামলা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার ওপর নয়—এটি দেশের গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশের ওপর সরাসরি আঘাত।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মহাসচিব রুহুল আমিন প্রধান। তিনি বলেন, “হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা প্রমাণ করে, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে একটি গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং এটি যারা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। যদি সরকার এ বিষয়ে ন্যায্য বিচার না করে, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম হোসেন, নারী বিষয়ক সম্পাদক শাহানাজ কবির, ছাত্রনেতা রায়হান মাহমুদসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা।
বক্তারা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনীতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
দলটির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগামী সপ্তাহে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটসহ বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে একটি রাজনৈতিক বৈঠক শেষে বাসায় ফেরার পথে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ি লক্ষ্য করে একদল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এতে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে যায় এবং চালক হালকা আহত হন। ঘটনার পরপরই ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।